






























গোটা পৌরসভায় প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার মোটরসাইকেল শোডাউন জানান দিচ্ছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার। প্রতিদিনই সম্ভাব্য প্রার্থীরা পাড়া-মহল্লায় মতবিনিময়, উঠান বৈঠক, মোটরসাইকেল শোডাউন, গণসংযোগ ও ভোটারদের দোয়া ও সমর্থন চেয়ে পোস্টারিং শুরু করেছেন। এতে গোপালপুর পৌর এলাকায় আগেভাগেই শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী আমেজ। দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের ১০ জন সম্ভাব্য প্রার্থীই নৌকা প্রতীকের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। শুরু করেছে উঠান বৈঠক, মাক্স বিতরণ ও বিভিন্ন পূজা মন্ডবে নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে নিবাচনী প্রচার। বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিবাচনী মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিশেষ করে পৌর মেয়র পদে মাঠপর্যায়ে আওয়ামী লীগের ১১ জন প্রার্থীর সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও নীরব রয়েছে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। বিএনপির দুই চারজন প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও জাতীয় পার্টির কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পৌরসভার বর্তমান মেয়র পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম মোলাম। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রোকসানা মুর্তুজা লিলি গত পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপির প্রার্থীর কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরিন দন্দের কারনেই পারাজিত হতে হয়েছে লিলিকে এমনই দাবি নেতাদের। এবারও তিনি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নৌকা প্রতীক পেতে কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
মনোনয়ন দৌড়ে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলো গোপালপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রোকসানা মুর্তুজা লিলি, লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, নাটোর জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক ইকবাল হোসেন রিপন, লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কাজী আছিয়া জয়নুল বেনু, গোপালপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক শফিউল আলম শফি, লালপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মনি, নাটোর জেলা পরিষদের সদস্য ও লালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বদিউর রহমান বদর, গোপালপুর পৌর শাখার পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সরকার, ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্র নেতা মাসুদুর রহমান,
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র ও পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম মোলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন কাচি, সুজন আলী, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসেনের নাম শুনা যাচ্ছে। তবে বর্তমান মেয়রের উন্নয়ন ও দলীয় কর্মকান্ড নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। বিএনপির একটি অংশের অভিযোগ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সাথে সুস্পর্ক গড়ে তোলে নানা অনিয়ম করে উন্নয়ন কাজের ক্ষতি করেছেন। তা ছাড়া দলীয় কোন কর্মকান্ডও করতে পারেনি। প্রায় ৫ বছর যাবত পৌর বিএনপির অফিসটিও বন্ধ রয়েছে।
গোপালপুর পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র, নাটোর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মন্জুরুল ইসলাম বিমলও নির্বাচন করবেন বলে শুনা যাচ্ছে। তিনি পরপর ২ বার মেযর এবং গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদেন চেয়ারম্যান ছিলেন। গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকা ও ধানের শীষের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।
এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গোপালপুর পৌর সভায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে চায়ের দোকানদার আবদুল হান্নান।
এবারে গোপালপুর পৌর সভার ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ১শ ৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৫ শ ৫৮, মহিলা ৯ হাজার ৫শ ৭৩।