






























রোডস্টার ধাঁচের গাড়িটির চালকের আসনে ‘স্টারম্যান’ নামের একটি পুতুল বসানো আছে বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গতকাল ৮ অক্টোবর টুইটারে স্পেসএক্স জানায়, এই প্রথম মঙ্গলের কাছাকাছি গেল গাড়িটি। কাছাকাছি বললেও দূরত্ব একদম কম নয়। লাল গ্রহের ৫০ লাখ মাইলের মধ্যে পৌঁছেছিল সে টেসলা।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি হরাইজনস সিস্টেম ব্যবহার করে স্পেসএক্স রকেটটির অবস্থান পর্যবেক্ষণ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের জ্যোতির্বিদ জোনাথান ম্যাকডাওয়েল। টুইটারে তিনি লিখেছেন, রকেটটি অনেক দূরে। ওখান থেকে মঙ্গল গ্রহকে দেখাবে চাঁদের ব্যাসের দশ ভাগের এক ভাগ।
গাড়িসমেত রকেটটি এখন পর্যন্ত ডিম্বাকার কক্ষপথে সূর্যকে প্রায় ১.৭৫০৭ বার প্রদক্ষিণ করেছে বলে জানান জোনাথান। পৃথিবী থেকে সেটির দূরত্ব ৩ কোটি ৭০ লাখ মাইল। ২ বছর ৮ মাস আগে পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত পাড়ি দিয়েছে ১৩০ কোটি মাইল।
কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে একদিন আবারও পৃথিবীর ‘কাছাকাছি’ আসতে পারে ইলন মাস্কের টেসলা রোডস্টার। তবে এখনই নয়। জোনাথান বলেন, ২০৪৭ সালে এটা পৃথিবীর ৫০ লাখ মাইলের মধ্যে আসবে। এই পরিমাণ দূরত্বে অবশ্য বস্তুগুলো আলাদা করে চেনা যাবে না।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর অধ্যাপক হ্যানো রেইন হিসাব কষে দেখেছেন, টেসলা গাড়িটি হয়তো একদিন পৃথিবীতে এসেই পড়বে। জানিয়েছেন, পরবর্তী ১০ লাখ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার ৬ শতাংশ আশঙ্কা রয়েছে। আবার শুক্র গ্রহেও পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে শঙ্কার পরিমাণ আড়াই শতাংশ।