থানকুনি খুব ছোট এবং গোলাকার একটি বর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ। এটি ম্যাকিনলেয়াসি পরিবারের উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica।
থানকুনিতে এশিয়াটিকোসাইড, ব্রাহ্মোসাইড, অ্যাসিইয়্যাটিক এসিড, ব্রাহ্মিক এসিড এবং পেন্টাসাইক্লিক ট্রাইটারপেনয়েড রয়েছে। এছাড়াও সেন্টিলোজ, সেন্টেলোসাইড এবং ম্যাডেক্যাসোসাইড রয়েছে।
অঞ্চলভেদে থানকুনিকে আদামকুনি, টেয়া, মানকি, তেতুরা, দোলামনি, থুলকুঁড়ি প্রভৃতি নামে ডাকা হয়ে থাকে।
উপকারিতা
- থানকুনি পাতা খেলে স্কাল্পের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে চুল পড়া হ্রাস পায় এবং নতুন চুল গজায়।
- থানকুনি পাতায় রয়েছে অ্যামাইনো এসিড, বিটা ক্যারোটিন এবং ফাইটোক্যামিকেল যা ত্বকের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং শুষ্ক ত্বক মসৃণ হয়ে ওঠে।
- থানকুনি পাতায় রয়েছে Bacoside A এবং Bacoside B যা মস্তিষ্কের কোষের গঠন করতে সাহায্য করে।
- দাঁতের মাড়ি ও দাঁত ব্যথার ক্ষেত্রে থানকুনি পাতার রস ব্যবহারে ব্যথা দূর হয়।
- এটি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এর রস প্রতিদিন সকালে খেলে গ্যাস্ট্রিক ভালো হয় এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
- রক্তপাত হলে কিংবা কাটা জায়গায় থানকুনি পাতা ব্যবহারে ব্যথা দূর হয়। এটি রক্তজমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
- থানকুনি পাতার রস খেলে রক্ত শুদ্ধ হয় এবং রক্তপ্রবাহ জনিত সমস্যা দূর হয়। এতে শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যায়।
- থানকুনিতে রয়েছে এন্টি ইনফ্ল্যামেটারি উপাদান যা শরীরের ক্লান্তি দূর করে, পেশির ব্যথা দূর করে। এটি স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মানসিক চাপ ও অস্থিরতা কমে যায়।
- থানকুনি খেলে শরীরে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং পেন্টাসাইক্লিক ট্রিটারপেনস নামের উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যা ব্রেনসেলকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এছাড়া স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে।
- পেটের যেকোন রোগ নিরাময়ে এটি সাহায্য করে। আমাশয়, আলসারের মতো রোগের চিকিৎসায় থানকুনি খেলে উপকার হয়।