আজঃ সূর্য, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

উপায় উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেশার কমানোর জন্য সাহায্যে করে যে ১০ টি খাবার। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের সহজ ও ঘরোয়া উপায় ।

লিখেছেনঃ সুমাইয়া পঠিত 423 বার
উপায় উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেশার কমানোর জন্য সাহায্যে করে যে ১০ টি খাবার। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের সহজ ও ঘরোয়া উপায় ।
উপায় উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেশার কমানোর জন্য সাহায্যে করে যে ১০ টি খাবার। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের সহজ ও ঘরোয়া উপায় ।


উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেশার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই সমস্যা। এর কারনে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে বয়স্কদের হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে শরীরে নানান সমস্যা দেখা যায়।

যে ১০টি খাবার নিয়ম করে খেলে কমবে উচ্চ রক্তচাপ এর ঝুঁকি

অন্যদিকে শহুরে জীবনের যান্ত্রিকতা মানসিক চাপ দিন দিন বাড়াচ্ছে।সেই সঙে বাড়ছে শারীরিক সমস্যাও।মনের উপর চাপ,সেইসঙে খাও্যার অনিয়ম,আর শরীর চর্চায় অনিয়ম সব মিলিয়ে শহরের দিকে উচ্চ রক্তচাপ রোগীর সংখ্যা অনেক।অনেকে অবশ্য জানে না যে রোজকার খাবারের তালিকায় সাধারন সাধারন কিছু উপাদান রাখলেই মিলতে পারে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি।

কমলালেবুঃ

চমৎকার সব ভিটামিন সমৃদ্ব এবং রসালো ফল হচ্ছে কমলালেবু।প্রতিদিন ১ গ্লাস কমলার রস বা কয়েকটা কমলা খেলে শরীরের ভিটামিক “সি” চাহিদা মেটানো যায় এবং সেই সাথে উচ্চ রক্তচাপ কমে।

মিষ্টি আলুঃ

মিষ্টি আলু পটাসিয়াম সমৃদ্ব। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে পটাসিয়াম থাকলে একদিকে যেমন সোডিয়ামের পরিমান কম থাকে তেমনি রক্তচাপ ও কম থাকে।

আঙ্গুরের রসঃ

সারাদিনের ক্লান্তি মেটাতে এক গ্লাস আঙ্গুরের রস ক্লান্তি দূর করবে সেই সাথে আপনার রক্তচাপ ও ঠিক রাখবে।কেননা আঙ্গুরে আছে পোনিফেলনস যা রক্তচাপ কমিয়ে রাখে।এটি আঁশযুক্ত ফল বিধায় হৃৎপিন্ডের জন্য ও অন্বক উপকারী।কারন এতে ভিটামিন “এ”পটাশিয়ামও রয়েছে।

মধুঃ

মধুতে রয়েছে অলিগোস্যাকারাইড নামের এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট।এটি উত্তেজনোকর পরিস্থিতিতে রক্তনালীকে শান্তি রাখতে সাহায্য করে।এ ছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমান অ্যামাইনো এসিড,যা সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।

কলাঃ

কলা হচ্ছে সব মৌসুমের জন্য সহজলব্য ফল।যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।কলা পটাশিয়াম পূর্ন,যে উপাদানটি রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমিয়ে দেয় দশ গুন দ্রতগতিতে।সেইসঙে কিডনিকেও ভালো রাখে।তাই উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার এর রোগীর জন্য দিনে ১ থেকে ২ টি কলা খাওতা উচিৎ।

শিমঃ

শরীরে পটাসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম এবং আঁশের অভাব মিটানোর জন্য দারুন উপায় শীতকালীন সবজি শিম।শিমে থাকা এসব উপাদান রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

ডার্ক চকলেটঃ

গবেষনায় দেখা গেছে ডার্ক চকলেট রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমায়।

ডাবের পানিঃ

ডাবের পানিতে রয়েছে পটাসিয়াম,সোডিয়াম,ক্যালসিয়াম,ভিটামিন সি ও অন্যান্য নিউট্রিয়েটস।এই উপাদান গুলো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

লেবু এবং তেঁতুলঃ

উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গেলে লেবুর রস এবং তেঁতুলের পানি সাথে সাথে কাজ করে।

উচ্চ রক্তচাপ আলাদাভাবে কোন অসুস্থতা নয় কিন্তু প্রায়ই এর চিকিৎসা প্রয়োজন হয় কারন শরীরে অন্যান্য অঙ্গের উপর স্বল্প থেকে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ে।বিশেষ করে স্ট্রোক,হার্ট ফেইলিউর,হৃদক্রিয়া বন্ধ,চোখের ক্ষতি এবং কিডনি সমস্যা ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

বিশেষ করে এই রোগ সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনে রাখতে হলে লবণ এবং তামাক-জর্দা জাতীয় দ্রব্য পরিহার করতে হবে।